সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে ধান কাটার শুরুতেই বৈশাখের প্রচন্ড তাপদাহের কারণে মিলছে না কৃষি শ্রমিক। অপর দিকে হাটে-বাজারে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। প্রতিমণ ধান ১১শ’ থেকে ১৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো দাম পেয়ে বেজায় খুশি কৃষক।
চলতি বছর বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ১০ হাজার ৩শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপন করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) পর্যন্ত ওই উপজেলায় ২শ’ ৭০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। ধান কাটার শুরুতেই প্রচন্ড তাপদাহের কারণে কৃষি শ্রমিকের দেখা মিলছে না। কিছু কিছু এলাকায় দ্বিগুণ মজুরী দিয়ে শ্রমিক সংগ্রহ করে ধান কাটতে দেখা গেছে।
এক্ষেত্রে প্রতি বিঘা জমির ধান কাটতে কৃষি শ্রমিককে দিতে হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩২শ’ টাকা। অপরদিকে হার্ভেস্টার দিয়ে ধান কাটতে প্রতি বিঘায় খরচ হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২২শ’ টাকা। কৃষি শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে কৃষককে। অপরদিকে হার্ভেস্টার দিয়ে জমির ধান দ্রুত সময়ে ঘরে তুলছেন কৃষকেরা। অর্থ ব্যয় হচ্ছে কম।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট উপজেলায় মোট ১০ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান লাগানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই হাটে-বাজারে নতুন ধান বেচা-বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিমণ ধান ১১শ’ থেকে ১৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো দাম পেয়ে বেজায় খুশি কৃষক। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) উপজেলার পাকুল্যা ও তেকানীচুকাইনগর হাটে নতুন ধানের আমদানী বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, ধান কাটার শুরুতেই প্রচন্ড তাপদাহের কারনে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। দুই-এক জায়গায় শ্রমিক পাওয়া গেলেও মজুরী দিতে হচ্ছে ৩ গুন বেশি। তাই কৃষকেরা হার্ভেস্টার দিয়ে ঝড়-বৃষ্টির আশংকায় তড়িঘড়ি করে মাঠের ধান ঘরে তুলছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।