শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : শেরপুরে কারাগার থেকে বেরিয়েই প্রতিবেশীর বসতবাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে এক মাদকসেবী। গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টা থেকে দুইটা পর্যন্ত উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া কলোনি গ্রামের হাসেম আলীর বাড়িতে এই তাণ্ডব চালানো হয়। ওই মাদকসেবীর নাম শাহজামাল মিয়া (৩০)। সে একই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে মাদকসেবী শাহজামাল মিয়ার অত্যাচারে বাগড়া কলোনি গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সেইসঙ্গে তার দাবিকৃত নেশার টাকা দিতে অস্বীকার করলেই হামলার শিকার হচ্ছেন তারা। এনিয়ে ভয়ে তটস্থ গ্রামের সাধারণ মানুষ।
এমনকি তার পরিবারের লোকজনও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে মাদকসেবী শাহজামাল মিয়াকে পুলিশে দেওয়া হয়। কিন্তু মাত্র পনেরদিন জেলহাজতে থাকার পর চলতি মাসের ৭ মার্চ সকালে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসে। রাতে বাড়িতে এসে তাকে পুলিশে দেওয়ার জন্য নিজের মা ও স্ত্রীকে দায়ী করে তাদের মারপিট করতে থাকে।
একপর্যায়ে জীবন বাঁচাতে প্রতিবেশি হাসেম আলীর বাড়িতে আশ্রয় নেন তারা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেশির বাড়িতেও হামলা চালায় শাহজামাল মিয়া। সেইসঙ্গে ধারালো হাসুয়া দিয়ে দুইটি টিনের বেড়া কেটে টেলিভিশন, ফ্রিজ, সোফাসেট, আলমারি, ওয়ারড্রব, সেলাই মেশিন, গ্যাসের চুলাসহ সাংসারিক প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে দাবি করা হয়।
অভিযুক্ত শাহজামালের মা সোহাগী বেওয়া বলেন, মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে গ্রামবাসীর সঙ্গে আমরাও অতিষ্ঠ। নেশার টাকার জন্য প্রায় রাতেই বাড়িতে এসে আমাদের মারধর করে। একপর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে থানায় দিয়েছিলাম।
কিন্তু মাত্র পনেরদিন জেলহাজতে থেকে বেড়িয়ে বাড়িতে এসেই আবারো অত্যাচার-নির্যাতন এবং ভাঙচুর চালাচ্ছে। শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান আলী বলেন, অভিযোগটি তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক থাকায় তাকে ধরা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।