নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল নিখোঁজের তিন দিন পর মোছা. ইতি বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে সদর উপজেলার সিংগা শোলপুর ইউনিয়নের গোবরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইতি বেগম ওই গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। নিহতের স্বামী লোহাগড়া উপজেলার মুচড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সন্তানহীন ইমাম শফিকুলের স্ত্রী ইতি খানম বসতবাড়িতে একাই থাকতেন। শফিকুল লোহাগড়া উপজেলার একটি মসজিদে ইমামতী করার কারণে সেখানেই অবস্থান করেন, আর ছুটিতে বাড়িতে আসেন। বছরখানেক আগে কাজের সন্ধানে পরিবার নিয়ে বাগেরহাটের ফকিরহাট এলাকা থেকে মনিরুল মোল্যা নামের এক দিনমজুর এই এলাকায় আসেন। তাকে শফিকুল নিজেদের বাড়ির ফাঁকা একচালা ঘরটি ভাড়া দেন। মাস দুয়েক আগে ভাড়াটিয়া মনিরুল তার পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে নিজে কাজের তাগিদে ওই বাড়িতে থাকতেন।
ঈদের ছুটি কাটিয়ে শফিকুল গত ১৭ এপ্রিল নিজের কর্মস্থল লোহাগড়ায় চলে যান। গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকাল থেকে প্রতিবেশীরা তাদের ঘরসহ ভাড়াটিয়ার ঘরে তালা ঝুলতে দেখেন। পরদিন শনিবার ইমামের স্ত্রীকে বাড়িতে না পেয়ে স্বজনরা তাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। গ্রামে একাধিক আত্মীয় থাকায় শফিকুল জানান নিশ্চয় তার স্ত্রী কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন। রোববার ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে বিষয়টি স্থানীয়রা শফিকুলসহ পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভাড়াটিয়া মনিরুলের ঘরের খাটের নিচ থেকে ইতির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শফিকুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মনিরুলের ঘরের খাটের নিচ থেকে ইতি খানমের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করি। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত হাঁসুয়া আলামত হিসেবে জব্দ করি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্দেহের তালিকায় থাকা পলাতক মনিরুল মোল্যাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।