তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড় বাংলাবান্ধা মহাসড়কে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে প্রকৃতি রাঙাচ্ছে জারুল ফুল। পঞ্চগড় বাংলাবান্ধা সীমান্ত ঘেঁষা সড়কের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। দেশের মানচিত্রে সর্বউত্তরের সীমানা "ব দ্বিপ আকৃতি বা টিয়া পাখির" ঠোঁটের মত দেখতে যার তিনদিক ভারত সীমান্তের কাটাতারের বেড়া দ্বারা বেষ্টিত।
সড়কের দু'পাশে সমতলে সবুজ চা বাগান এর মাঝে সড়কের ওপর কোন কোন স্থানে ফুটেছে রাশি রাশি জারুল ফুল। বিশেষ করে পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া সড়কের বাংলাবান্ধা বাইপাস রবীন্দ্রনাথ স্মরণী থেকে তেঁতুলিয়া বন্দরে প্রবেশের কালান্দি টাইয়াগাছ নামকস্থানে প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে ফুটেছে জারুল ফুল।
বাংলার প্রকৃতিতে দেখা যায় নানা প্রকার ফুলের সমারোহ। বিভিন্ন জাতের অনেক ফুলের মধ্যে মানুষের নজর কাড়ছে বেগুনি রঙের থোকা থোকা জারুল ফুল। পাপড়ির নমনীয় কোমলতা, দৃষ্টিনন্দন বর্ণচ্ছটা নিয়ে প্রকৃতিকে যেন আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তুলেছে এ জারুল ফুল। এমন অনিন্দ্য সুন্দর মন মাতানো দৃশ্য কতই না চমৎকার!
জারুল ফুলের আদি নিবাস শ্রীলংকা। জারুল ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও চীন, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন প্রভৃতি অঞ্চলে জারুল গাছের দেখা মেলে।
নিম্নাঞ্চলের জলাভূমি ও তবে শুকনো এলাকাতেও এটি ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে। জারুলকে বাংলার চেরি বলা হয়। কী অপূর্ব হয়ে ফোটে। চোখ ভরে যায় তার রূপে।
জারুল গাছে এপ্রিল থেকে জুন মাসে ফুল আসে। জারুল গাছ যখন ফুলে ফুলে ভরে যায় তখন চারদিক ঘ্রাণে মোহিত হয় না বটে, দৃষ্টিনন্দন নিলাভ, বেগুনি রাশি শোভায় জনসাধারণ ও প্রকৃতি প্রেমিক সবার চোখ একনজর জুড়িয়ে যায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।