কোর্ট রিপোর্টার : বগুড়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার রায়ে মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ী জুয়েল রানাকে (৩৫) পৃথক পৃথক ধারায় যাবজ্জীবন করাদন্ডসহ মেয়াদী করাদন্ড ও জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।
রায়ে আসামি জুয়েলকে হেরোইন রাখার দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ইয়াবা ট্যাবলেট রাখার দায়ে ৬ মাসের সশ্রম করাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেয় হয়েছে।
সে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মদনপুরের সাবান আলীর ছেলে। সাজাপ্রাপ্ত জুয়েল জামিনে যাবার পর হতে পলাতক আছে এবং গ্রেফতারের পর হতে তার সাজা কার্যকর হবে। বগুড়ার ১ম অতিরিক্ত দায়রা জজ হাবিবা মন্ডল আজ বুধবার (৫ জুন) বিকেলে এই মামলার রায় দেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বগুড়া সদর সার্কেলের তৎকালীন পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দীক গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে তার বিভাগীয় স্টাফদের সংগে নিয়ে গত ২০১৫ সালের ১০ জুন সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে শেরপুরের মদনপুরে আসামির বাড়ি ঘেড়াও করে।
এরপরে তারা আসামি জুয়েল রানাকে আটক করে এবং তার শয়ন ঘর তল্লাশি করে ঘরের মধ্যে বিক্রির জন্য ব্যাগে বিশেষ কায়দায় পোটলার মধ্যে রাখা ৪৩ গ্রাম হেরোইন এবং ২৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেন। তাকে আসামিকে শেরপুর থানায় সোপর্দ করে এব্যাপারে পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দীক এই মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বগুড়া সদর সার্কেলের উপ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান ওই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি পরিচালনা করেন বাদি রাষ্ট্র পক্ষে এপিপি এড. নাছিমুল করিম হলি এবং আসামি পক্ষে স্টেট ডিফেন্স এড, ছানোয়ার হোসেন প্রাং।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।