নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের হুমকি ও ভোট কেনার সময় ৯ জনকে আটকের পর প্রত্যেককে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তারা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন রানার (মোটরসাইকেল) প্রতীকের কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
আজ বুধবার (৫ জুন) বিকেলে দন্ডিত ৯ জনকে কারাগারে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। এদিন দুপুরে ভোটগ্রহণ চলাকালে নন্দীগ্রাম শহরের মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র এলাকায় সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ায় দুইজনকে আটকের পর ৩ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন নির্বাচনের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. রওনক জাহান।
ভোটের আগেরদিন মঙ্গলবার মধ্যরাতে নির্বাচনী শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে পন্ডিতপুকুর ও ছোটকুঞ্চি এলাকা থেকে আটক সাতজনকে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. হুমায়ুন কবির।
১০ দিন করে দন্ডিত ৭ জন হলো, উপজেলার মাটিহাস গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০), নাসির উদ্দিনের ছেলে রেজাউল (৪৫), মহাদেব চন্দ্রের ছেলে স্বপন চন্দ্র (৪৮), মৃত মনসুর আলীর ছেলে আজিজুল (৪৫), রুবেল হোসেনের ছেলে তোহা আহমেদ (২১), আব্দুস সাত্তারের ছেলে স্বপন আহমেদ (৩৩), আমৃত রায়ের ছেলে রিপন কুমার (১৯)।
অন্যদিকে ৩দিন করে দন্ডিতরা হলেন- নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার কলেজপাড়া মহল্লার ওসমান মোল্লার ছেলে মাসুদ রানা (২৮) ও একই এলাকার আব্দুস সালাম মোল্লার ছেলে আব্দুল রতন (১৮)। সরকারি আদেশ নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করায় তাদেরকে দন্ডিত করা হয় বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আটককৃতরা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন রানার (মোটরসাইকেল) প্রতীকের কর্মী। ভোটের আগেরদিন মঙ্গলবার মধ্যরাতে মাটিহাস গ্রামের ৭ জন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছিল এবং মোটরসাইকেলে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের টাকা বিতরণ করছিল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।