আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : আদমদীঘির মুরইল বাজারে অবস্থিত মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিচিহ্ন শহীদ মিনারটি অযত্নে ও দেখভালের অভাবে আবারো জঙ্গলাকীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি ছাগলের বিচরণে পরিণত হয়েছে। যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে এই শহীদ মিনারটি। যেন দেখার কেউ নেই। গত বছর সংবাদ প্রকাশের পর সেখানে পরিস্কার করা হলেও তা রক্ষনাবেক্ষণ না থাকায় বর্তমানে আবারো শহীদ মিনারটি করুণ অবস্থায় রয়েছে। এই শহীদ মিনারটির চারিদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনি দিয়ে ঘিরে রাখার দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ন মুরইল বাজার। আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক মরহুম মকলেছার রহমানের উদ্যোগে স্থানীয় নেতৃবর্গের সার্বিক সহযোগিতায় ২০১০ সালে মুরইল বাজারের পূর্ব ও উত্তর পাশে এই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। সেই থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ অন্যান্য জাতীয় দিবস এই শহীদ মিনার পাদদেশে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হতো। নসরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সম্পাদক রেবতী মোহন সাহার নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক ভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও দেখভালও হতো ভালভাবেই। জাতীয় দিবসগুলোতে ফুলে ফুলে ভরে যেত এই শহীদ মিনার পাদদেশ। দীর্ঘদিন যাবত এই শহীদ মিনারটির পাদদেশে কোন জাতীয় দিবস পালন না করা এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও দেখভালের অভাবে আবারো শহীদ মিনারটি গাছগাছরা, লতাপাতায় ছেয়ে গেছে। সেখানে ছাগলের মলমূত্র ত্যাগের স্থানে পরিণত হয়েছে। এমনকি পথচারীরা এখানে প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতেও দ্বিধা করছেনা।
আদমীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রেবতী মোহন সাহা জানায়, আগে শহীদ মিনারের যত্ন হয়েছে। নতুন ইউনিয়ন কমিটি হওয়ার পর থেকে আর এই শহীদ মিনারের যত্ন নেয়া হয়না। নসরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী জানান, গত বছর নিজের অর্থে শহীদ মিনারটি পরিস্কার করেছিলাম। বর্তমানে সরকারি ভাবে কোর অর্থ বরাদ্দ না থাকায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কিংবা নিরাপত্তা বেষ্টনি দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি শহীদ মিনারটি যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।