ভিডিও

শাহজাদপুরে যমুনার পানি বাড়ছে ভাঙছে বিশাল জনপদ 

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৪, ০৬:১৭ বিকাল
আপডেট: জুন ২৩, ২০২৪, ০৬:১৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে গত কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে গত তিনদিন ধরে পানি বাড়ার হার বেশি হওয়ায় যমুনা অধ্যুষিত নিম্নাঞ্চলে বন্যা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এতে ছোট থেকে মাঝারি আকারের বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাশাপাশি বন্যার আগে থেকেই শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন উপজেলার জালালপুর এলাকায়। সম্প্রতি বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙনের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ইতোমধ্যেই বিলীন হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার বলেন, সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯৭ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমার ১২ দশমিক ৯০ মিটার)। পাউবো সূত্রে আরও জানা যায়, জুন মাসের শুরুতে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করে। ৩ জুন থেকে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়লেও এক সপ্তাহ পর কমতে থাকে। এরপর ১৮ জুন থেকে আবারও বাড়ছে যমুনার পানি। 
এদিকে উপজেলার জালালপুর, খুকনী ও কৈজুরী ইউনিয়নের যমুনা অধ্যুষিত এলাকায় কয়েক বছর ধরেই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি গ্রামের দেড়শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। বাস্তুহারা ও নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন ভাঙনকবলিত অসংখ্য মানুষ। পানি বাড়ার সাথে সাথে এসকল এলাকায় ভাঙনও তীব্র হয়েছে। 
এব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, আরও দুই-তিনদিন যমুনায় পানি বাড়বে। এসময় বিপৎসীমা অতিক্রম করে ছোট থেকে মাঝারি বন্যা হতে পারে। এরপর পানি আবার কমবে। তিনি বলেন, জালালপুর এলাকায় নদী ভাঙ্ন রোধে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে। ঈদের ছুটি থাকায় ভাঙন রোধে কোনও কাজ করা সম্ভব হয়নি। আপাতত ওই ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও টিউব ফেলা শুরু করা হবে। 
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও শাহজাদপুরে আমাদের একটি প্রকল্প অব্যাহত রয়েছে যেটি জুন ২০২৪-এ শেষ হবার কথা ছিল। তবে কাজ শেষ না হওয়ায় আরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এ প্রকল্পে সাড়ে ছয় কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ কাজ রয়েছে। যেটি এনায়েতপুর স্পার থেকে হাটপাঁচিল পর্যন্ত বিস্তৃত। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ার পর অত্র এলাকার ভাঙন পুরোদমে রোধ করা যাবে বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা। 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS