বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বালুভরা ইউনিয়নের বারাতৈল গ্রামে বটবৃক্ষের মত দাঁড়িয়ে আছে বিশাল আকৃতির কয়েকশ’ বছরের পুরানো তেঁতুল গাছটি যেন দেশের এক বিরল স্মৃতি। ঐ গ্রামের ওপর দিয়ে সড়ক পথে চলাচলে পথচারীদের দৃষ্টি কাড়ে প্রাচীনতম স্মৃতি বিজড়িত এই তেঁতুল গাছটি।
উপজেলার বালুভরা ইউনিয়নের বারাতৈল গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ে বারাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের সামনেই পাকা রাস্তা। রাস্তার পাশেই বটবৃক্ষের মত দাঁড়িয়ে আছে বিশাল আকৃতির তেঁতুল গাছটি। গাছের ডালপালাগুলো বটগাছ বা ছাতার মত বৃহৎ এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে আছে। সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশকে আরো সুসজ্জিত করেছে তেঁতুল গাছটি। গাছের ছায়া আর শীতল হাওয়া মানুষের মন ও শরীরকে প্রশান্তিতে জুড়িয়ে যায় এর নিচে দাঁড়ালে। স্থানীয় লোকজন জানায় সরকারি সম্পত্তির ওপর এই গাছটি। এটি গ্রামের কবরস্থান।
গাছের বয়স জানতে চাইলে বারাতৈল গ্রামের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ, লিটন, নূর ইসলাম, সুরুজ বলেন- তাদের দাদার দাদারাও বলতে পারেননি এ গাছের বয়স কত। তবে এলাকায় জনশ্রুতি আছে গাছটির বয়স এক হাজার বছরের কাছাকাছি। গাছটির প্রতিটি ডাল যেন এক একটি বড় গাছের চেয়ে লম্বা এবং মোটা। এখনো প্রচুর তেঁতুল ধরে। আকারে ছোট হয়। গাছটির কান্ড থেকে মাথা পর্যন্ত সবুজ পাতায় ভরে আছে। দেখলে মনে হবে এখনো চির সবুজ। এবার ঝড়ে বড় একটি ডাল ভেঙে পড়ায় গাছটি অনেকটা সৌন্দর্য হারিয়েছে। তবুও গাছটি এখনো বটবৃক্ষের মত দাঁড়িয়ে আছে। প্রকৃতি প্রেমীরা সামনে পড়লে গাছটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে। গাছটি অধিক উচু হওয়ায় শত শত বাদুড়সহ নানা প্রজাতির অতিথি পাখি এই গাছে বসবাস করে। স্থানীয় লোকজন আরো বলেন, এত বড়, মোটা ও এমন উঁচু তেঁতুল গাছ কোন এলাকায় চোখে পড়ে না। সেক্ষেত্রে এই গাছটি দেশের একটি বিরল স্মৃতি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।