স্টাফ রিপোর্টার : কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বগুড়া জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ব্যক্তি স্বার্থকে উর্দ্ধে রেখে দেশের স্বার্থে, জনস্বার্থে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
যারা সিন্ডিকেট করে তারা খুব শক্তিশালী, সবাই এগিয়ে না আসলে কোনভাবেই এদের বিরুদ্ধে পেরে ওঠা সম্ভব নয়। আর এক্ষেত্রে ক্যাব’র ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাব নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য নিয়ে তা ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানাবে। এই প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে সিন্ডিকেটসহ নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য তৈরি করে যারা সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছে তাদের রুখে দিতে হবে।
এসময় তিনি ক্যাব’র সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করে বলেন, ক্যাব নেতৃবৃন্দ সক্রিয় না হলে, তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব হলে ভোক্তার অধিকার রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ক্যাব’র ভূমিকার কারণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এ জন্য ক্যাবকে আরও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
আজ রোববার (৩০ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়া ও ক্যাব জেলা কমিটি এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মো. মনোয়ার হোসেন, রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ইব্রাহিম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পিএম ইমরুল কায়েস, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান।
আরও বক্তব্য রাখেন ক্যাব জেলা কমিটির সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফৌজিয়া খানম, জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডোনিস তালুকদার বাবু, রাজা বাজার ব্যবসায়ী সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, সাংবাদিক মাহফুজ মন্ডল প্রমুখ।
এর আগে তিনি শহরের রাজা বাজারের বিভিন্ন দোকান মনিটরিং করেন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মরিচ-হলুদ ভাঙানোর অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে বগুড়ায় এক টাকা দরে ৬০ পিস লেবু কিনেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বগুড়ায় বাজারে এসে মনে হচ্ছে শায়েস্তা খায়ের আমলে চলে এসেছি। এখানে লেবু বিক্রি হচ্ছে এক টাকা পিস। আমি এখান থেকে পাঁচ ডজন লেবু কিনেছি মাত্র ৬০ টাকায়, যেখানে ঢাকায় কোন কোন সময় এক হালি লেবুর দাম ৬০ টাকা পড়ে। এখানে ঢেঁড়স, পটল ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সেখানে আজ রোববার (৩০ জুন) আমি ঢাকার বাজার গিয়ে দেখেছি এসবের দাম ৮০ টাকা কেজি। তাহলে কী দাঁড়াচ্ছে, আমাদের বিপণন ব্যবস্থা ত্রুটিযুক্ত। কৃষকেরা যা উৎপাদন করছে তা বগুড়ার বাজারে যদি ২০ টাকায় হয় তাহলে সেটি ঢাকার বাজারে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এটা আসলেই অযৌক্তিক। ক্রটিযুক্ত বিপণন ব্যবস্থা দূর করতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।