সিংহভাগ আয় ধরা হয়েছে প্রকল্প থেকে
স্টাফ রিপোর্টার : প্রকল্প প্রাপ্তি হিসেবে ১৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা আয় ধরে বগুড়া পৌরসভা ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য ২৭১ কোটি ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ১৩৫ টাকার বিলাসী বাজেট ঘোষণা করেছে। পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা আজ রোববার (৩০ জুন) শহিদ টিটু মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন।
বাজেট ঘোষণা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদন্নোতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) স্নিগ্ধ আকতার। অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, টিএমএসএস‘র উপ নির্বাহী পরিচালক ডা. মতিউর রহমান, লাইট হাউসের নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র-১ পরিমল চন্দ্র দাস, প্যানেল চেয়ারম্যান-২ আলহাজ শেখ, প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ শিরিন আকতারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত বাজেটের উপর আলোচনা করেন, সাংবাদিক রেজাউল হাসান রানু, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জেএম রউফ, রাহাত রিটু, মেহেরুল ইসলাম সুজন, প্রতীক ওমর, সাবেক কাউন্সিলর মো. বেলাল হোসেন প্রমুখ।
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য বগুড়া পৌরসভার ঘোষিত বাজেটে উন্নয়ন খাত এডিপি থেকে আয় ২ কোটি টাকা ধরা হয়েছে যেখানে গত অর্থ বছরে আয় ছিলো মাত্র ৭৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের মধ্যে আরইউটিডিপি হতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রত্যাশা করা হয়েছে।
এছাড়াও বৃহত্তর পাবনা-বগুড়া উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ২০ কোটি, জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় সরকারের জলবায়ু তহবিল হতে ১ কোটি, কোভিড-১৯ প্রকল্প থেকে ৪০ কোটিসহ মোট ১৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রকল্পের প্রাপ্তি থেকে আয় ধরা হয়েছে।
বাজেটে এছাড়াও নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে। আগামী অর্থ বছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে করোনা মহামারী পরবর্তী রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কথ্ াতুলে ধরা হয়েছে। ঘোষিত বাজেটে বলা হয় বিধি মোতাবেক ৫ বছর অন্তর পৌরকরের রি-অ্যাসেসমেন্ট করার নির্দেশনা থাকলেও বিভিন্ন কারণে ২০১৩ সালের পর পৌরসভার রি- অ্যাসেসমেন্ট করা হয়নি। প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ১ থেকে ১৩ নং ওয়ার্ডে রি-অ্যাসেসমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ওয়ার্ডে রি-অ্যাসেসমেন্ট করা হবে।
বাজের সভায় জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এই বাজেট সিটি কর্পোরেশনের বাজেটের কম নয়। জেলা প্রশাসক বাজেট বাস্তবায়নে পৌরসভা কর্তপক্ষকে সর্বত্মক সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেন। জেলা প্রশাসক উপস্থিত ব্যবসায়ীদেরকে ডিলিং লাইসেন্স গ্রহণ করে ব্যবসা করার আহবান জানান।
পৌরসভার মেয়র তার সমাপনী বক্তব্যে জানান, পৌরসভার মাস্টার প্লান করতে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার প্রয়োজন। বিশাল পরিমান এই অর্থ ব্যয় করা এই মুহূর্তে পৌরসভার পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব নয়। তিনি মশক নিধন, কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়া, পৌর এ্যাডওয়ার্ড পার্কে ২০ কেটি টাকার উন্নয়ন মূলক কাজ করার কথাও বলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।