কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : একের পর এক গ্রাম্য শালিসের রায়, পুলিশি প্রতিবেদন ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণ করেছেন হেলাল বাবু ও তার লোকজন। হেলাল বাবু উপজেলার পূর্ব দুবলাই সংলগ্ন সিংড়াবাড়ী গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
একই গ্রামের শাহজালাল আজাদের সাথে সিংড়াবাড়ী মৌজার আরএস ৩২ খতিয়ানের ১৬৩৯ দাগের ৫৯ শতাংশের কাতে ২৩ শতাংশ বাড়ির জমি নিয়ে পাঁচ বছর যাবৎ হেলাল বাবুর সাথে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে যেকোন সময় নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, হেলাল বাবুর একটি ঘর বিরোধপূর্ণ জমিতে এখনো রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রাম্য সালিশ, থানা পুলিশের প্রতিবেদন ও আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজপত্র দেখান শাহজালাল আজাদ।
আদালতের আদেশে কাজিপুর থানা পুলিশের দেয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বিবাদী হেলাল বাবুর দাবি করা সম্পত্তির প্রকৃত মালিক বাদি শাহজালাল আজাদ। বিবাদী হেলাল বাবু ওই জমিতে জোরপূর্বক একটি ঘর নির্মাণ করেন।
এরপর আরও ঘর তোলার চেষ্টা করলে বাধা দেন শাহজালাল আজাদ। এসময় জমিটি বাদির কাছ থেকে হেলাল বাবু ক্রয় করে নিতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম্য মাতব্বরদের উপস্থিতিতে ওই জমি হস্তান্তরে রাজী হন শাহজালাল আজাদ।
একইসাথে ওই জমি রেজিস্ট্রির না হওয়া পর্যন্ত উত্তোলিত ঘর সরিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত উভয়পক্ষ মেনে নেন। কিন্তু ছয়মাস পেরিয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারণে হেলাল বাবু ওই জমি আর ক্রয়ও করছেন না ঘরও সরাচ্ছেন না। কিছু বলতে গেলে বাদি শাহজালাল আজাদকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বিপ্লব জানান, আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম। তা উভয়পক্ষ মেনেও নিয়েছিলেন। এদিকে বিবাদী হেলাল বাবু মুঠোফোনে জানান, ওই জমি আমার। পাঁচ বছর পূর্বে আমি সেখানে বাড়ি করেছি। এখন এসে শাহজালাল আজাদ আমাকে হয়রানি করছেন। বিরোধপূর্ণ জমি ক্রয় করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি আর কিনবো না। ওই জমি আমার।
বাদি শাহজালাল আজাদ জানান, সকল তদন্ত প্রতিবেদন আমার পক্ষে থাকার পরেও ওই ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন না হেলাল বাবু। উল্টো আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।