ভিডিও

শবনমের অপেক্ষার ২৫ বছর...

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ০৬:৫৭ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ০৬:৫৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

অভি মঈনুদ্দীন: দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত একটি নতুন সিনেমাতে অভিনয়ের অপেক্ষায় আছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী নায়িকা শবনম। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ সিনেমায় সর্বশেষ নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপর তাকে আর কোনো সিনেমা অভিনয়ে দেখা যায়নি বিগত ২৫ বছরে। এটা সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়ই বটে। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয়ও হলেও এটাই সত্যি যে দীর্ঘ ২৫ বছর তার কাছে এমন কোনো মৌলিক গল্পের সিনেমাতে অভিনয়ের প্রস্তাব যায়নি যে তাতে তিনি মুগ্ধ হয়ে অভিনয় করবেন।

একটা সময় ছিলো যখন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী নায়িকা শবনমকে বাংলাদেশের দর্শক ‘ হারানো দিন’, ‘চান্দা’,‘ তালাশ’, ‘নাচের পুতুল’-এর নায়িকা হিসেবেই বেশি চিনতেন। তারপর অবশ্য তিনি বাংলাদেশের ‘সন্ধি’,‘ শর্ত’,‘ সহধর্মিনী’, ‘যোগাযোগ’, ‘জুলি’,‘ বশিরা’, ‘দিল’সহ আরো অনেক সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। তার পরবর্তী সময় অর্থাৎ ১৯৯৯ সালের ২৫ জুন কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ সিনেমাটি মুক্তির পর থেকে আজ অবধি দর্শক তাকে ‘আম্মাজান’ হিসেবেই খুব সহজে চিনেন। দীর্ঘদিন তিনি পাকিস্তানের সিনেমাতে অভিনয় করেছেন বিধায় অনেকেই আবার মনে করতেন তিনি পাকিস্তানের নায়িকা। কিন্তু এই ধারনাও ভুল ছিলো। তার আসল নাম ঝরনা বসাক। ‘আম্মাজান’র পর আর কোন সিনেমাতে অভিনয়ে দেখা যায়নি শবনমকে।

এরইমধ্যে বেশ কয়েক বছর আগে তিনি হারিয়েছেন স্বামী বরেণ্য সুরস্রষ্টা, সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষকে। একমাত্র ছেলে রনিকে নিয়েই তিনি রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় বসবাস করছেন। শবনম বলেন,‘ আর কোনোদিন সিনেমাতে অভিনয় করবো কী না জানিনা। তবে ইচ্ছেতো আছেই, গল্প মৌলিক হলে ভেবে দেখবো। দেখতে দেখতে ৭৭ টি বছর পার করে দিলাম। অথচ এখনো মনে হয় এই তো সেদিনের কথা, বাবা মায়ের সঙ্গে সময় কাটছে, স্কুলে যাচ্ছি, ফিল্ম করছি। আর এখন ভাবলে মনে হয় কতো সময় চলে গেছে জীবন থেকে। জীবনের কতো রূপ দেখেছি, নানান বয়সে জীবনের সৌন্দর্য্যকে উপভোগ করেছি। কতো কতো মানুষের সঙ্গে পরিচয়, কতো কিছু শিখেছি এক জীবনে, কতো কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আবার হারিয়েছিও অনেক প্রিয়জনকে। সত্যি বলতে কী মৃত্যু পর্যন্ত জীবন সুখ-দুঃখের খেলা। এখনো সুস্থ আছি, ভালো আছি-এটাই কম কীসের। বয়সতো আর কম হলোনা। সবার দোয়া ও ভালোবাসা চাই।’

চলচ্চিত্রে আসার অনেক আগে থেকেই শবনম নাচের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নাচ শিখতেন। এহতেশাম পরিচালিত ‘এদেশ তোমার আমার’ সিনেমাতে তখন একটি গানে বেশ কয়েকজন নাচের মেয়ের দরকার হয়ে পড়ে। তখন বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকেই কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই দলে শবনমও ছিলেন। এরপর ‘রাজধানীর বুকে’ সিনেমাতে তিনি একটি একক নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন। তার পরপরই এহতেশাম তাকে ও রহমানকে নিয়ে শুরু করেন ‘হারানো দিন’ সিনেমাটি। এরপর একে একে অনেক সিনেমাতে অভিনয় করেন শবনম।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS