ভিডিও

বগুড়ার সোনাতলায় ৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণির সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার দাবি শিক্ষার্থীদের

পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ১০:০২ রাত
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ১০:০২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বার্ষিক পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি আবেদনপত্র দাখিল করেছেন।

সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিক্ষা ও কল্যাণ শাখার সহকারী কমিশনার আবু শাহমা সই করা একটি পত্রে জেলা শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে তদন্ত করে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে জানানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

আবেদন সূত্রে জানা গেছে, ৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীবৃন্দ দীর্ঘ ৯ মাস যাবত নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষে পাঠগ্রহণ করেছেন। শ্রেণিকক্ষে অধ্যয়নকৃত সিলেবাস থেকে বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। নতুন এই সিলেবাস অনুযায়ী বার্ষিক পরীক্ষা দেওয়া তাদের পক্ষে কষ্টকর। তাই ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার দাবি করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের এই আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গত ২৫ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত একটি পত্র জেলা প্রশাসকের বরাবরে প্রেরণ করেন। জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সেই আবেদনসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পত্রটি জেলা শিক্ষা অফিসারকে সরজমিনে তদন্ত করে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের জন্য গত ১৭ অক্টোবর একটি পত্র প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী রবিউল হাসান ও মোস্তারিন মেজবাহ বলেন, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকেই আমরা দীর্ঘ ৯ মাস নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষে পাঠগ্রহণ করেছি। হঠাৎ করে বার্ষিক পরীক্ষার আগে আমাদের ওপর আরেকটি নতুন সিলেবাস চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামানিক বলেন, সম্প্রতি ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন। তখন তাদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যেতে বললে তখন তারা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের দাবিতে একটি আবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে সেই আবেদনটি জেলা প্রশাসকের বরাবর পাঠানো হয়।

এরপর বিষয়টি তদন্ত করে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হযরত আলী বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS