ভিডিও

শুল্ক কমলেও বেড়েছে চাল আলু ও পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ১০:০৭ রাত
আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ১০:০৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েন চালের দাম বাড়লে। দেশে দু-তিন বছর ধরেই চালের দাম বাড়তি। এক সপ্তাহের বেশি হলো খুচরা বাজারে মাঝারি ও সরু চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে বেশি বেড়েছে মাঝারি চালের দাম, যার ক্রেতা স্বল্প আয়ের মানুষ।

অথচ গত ১৬ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর চালের শুল্ক কমায়। এনবিআর জানায়, বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানো ও চালের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চাল আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান তিন ধরনের শুল্ক কমানো হয়। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়। আর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২০ শতাংশ কমিয়ে ২৫ থেকে করা হয় ৫ শতাংশ। এছাড়া আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। চাল আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক-কর কমানোর ফলে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম ১৪ টাকা ৪০ পয়সা কমবে। অথচ ধানের সংকট বা দাম বেশির অজুহাতে সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চালের দামের বাড়তি বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বগুড়া ফতেহ আলী বাজারসহ বেশিরভাগ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিআর-২৮ চাল আগে ৫৮-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও দাম বেড়ে বর্তমানে ৬২-৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিআর-২৯ জাতের চালেও দাম বেড়েছে চার টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও কাটারিভোগ চালে আগের তুলনায় দাম বেড়ে ৭০-৭২ টাকা কেজি এবং মিনিকেট চাল ৬৮-৭০ থেকে বেড়ে ৭২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

চাল ব্যবসায়ী রনি ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরেই বাজারে মাঝারি মানের চালের দাম কেজিতে দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। মূলত, মোকামে বা মিলগুলোতে চালের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য আলু ও পেঁয়াজের দাম কমাতেও আমদানি শুল্কছাড় দেওয়া হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে আলু আমদানিতে যে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আছে, তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়। পেঁয়াজের ওপর প্রযোজ্য ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়। শুল্ক কমানোর পরেও বগুড়ার বাজারে বেড়েছে পণ্য দু’টির দাম।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারসহ বেশিরভাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বর্তমানে ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত কয়েক দিন আগেও ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। পাশাপাশি আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৯৫-১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা মানভেদে ৮৫-৯৫ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়াও বাজারে প্রতিকেজি আলু দাম বেড়ে বর্তমানে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা গত কয়েক দিন আগেও ৫২ থেকে ৫৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়।

এদিকে বগুড়ার বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি পটল ও ঢেঁড়স ৬০, বেগুন, করলা ও ঝিংগা ৮০, শশা ৪০, মিষ্টি লাউ ৫০ টাকা ও কাঁচামরিচ ২২০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এছাড়াও ডিমের হালিতে দাম কমে ৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮৫, ককরেল মুরগি ২৮০ ও দেশি মুরগির কেজি ৪৬০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ এবং খাসির মাংস এক হাজার টাকা কেজিতে বেচাকেনা হচ্ছে। 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS