ভিডিও

ফতেহ আলী ব্রিজ ও শজিমেক হাসপাতাল সড়ক ভোগাচ্ছে বগুড়াবাসিকে

কাজে ধীরগতি

প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৪, ১০:৪৬ রাত
আপডেট: মে ২৭, ২০২৪, ১০:৪৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : করতোয়া নদীর উপর নির্মাণাধীন শাহ ফতেহ আলী ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলতি মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ হয়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত সংযোগ সড়কের কাজও চলছে ধীর গতিতে।

বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের চলমান এই দুটি উন্নয়ন প্রকল্প শহরবাসীকে ভোগাচ্ছে। কাজের ধীর গতির কারণে ওই দুই প্রকল্প এলাকার মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।

এর মধ্যে অন্যতম প্রকল্পটি হচ্ছে করতোয়া নদীর উপর নির্মাণাধীন শাহ ফতেহ আলী ব্রিজ। ২০২৩ সালের ২২মে আনুষ্ঠানিক ভাবে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও গত এক বছরে ৪৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রুহুল আজম। কাজের ধীরগতির কারণে পূর্ব বগুড়ার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।

নতুন ব্রিজ করার জন্য পুরাতন ব্রিজ অপসারণ করে বাঁশের সাঁকো করে দেওয়া হয়েছে। গত এক বছরে সেই সাঁকোও নড়বড়ে হয়ে গেছে। যে কোন সময় পুরাতন এই সাঁকো ভেঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নড়বড়ে সাঁকো পার হয়ে শহরে যাতায়াত করছে। প্রায় ১৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৯ মিটার দৈর্ঘ্য আর ১২ দশমিক ৩ মিটার চওড়া এই  সেতু নির্মাণে সময় সীমা বাড়ানা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রুহুল আজম।

তিনি জানান, চলতি মাসে এই কাজের সময় সীমা শেষ হচ্ছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহন, নদীতে পাইলিং সমস্যার কারনে কাজ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে শেষ করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে খুব কম সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চাপ দেওয়া হয়েছে। এবং কাজের সময় সীমা বাড়ানোর জন্যও উদ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

এদিকে প্রায় দুই যুগ আগের প্রকল্প মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডেকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত সংযোগ সড়ক প্রকল্প। এই প্রকল্প কয়েক দফায় হচ্ছে। সর্বশেষ দফা কাজ হচ্ছে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে গোহাইল রোড পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ।

এসেনসিয়াল ড্রাগস, পাসপোর্ট অফিস, মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল এবং প্রস্তাবিত র‌্যাব-১২ কার্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের কারণে ওই রাস্তার কাজে ধীরগতি ছিলো বলে দাবি করেছেন সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা।

গত ২৩ তারিখে উল্লেখিত সরকারি স্থাপনার অধিগ্রহণকৃত জমি উদ্ধার করা হয়েছে। কাজটি নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতানা খানম। এই কর্মকর্তা জানান, জটিলতার কারণে এতদিন জমি বুঝে না পাওয়ার জন্য কাজে গতি ছিলো না। এখন কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS