শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার শেরপুরে এক যুগের বেশি সময় পর জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হলো প্রায় ১৬শ’ বিঘা আবাদি জমি। উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ, কানাইকান্দর, রাজবাড়ী, হাতিগাড়া, আড়ংশাইল গ্রামের মাঠের এই জমিগুলো অনাবাদি পড়ে ছিল। এতে বিপুল পরিমাণ জমি অনাবাদি ছিল।
শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা থেকে মির্জাপুর ইউনিয়নের ব্র্যাক বটতলা পর্যন্ত রাস্তা থাকলেও পানি নিষ্কাশনের জন্য ছিল না কোন ব্রিজ বা কালভার্ট। যার ফলে বর্ষায় পানি বের হতে না পেয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
জমির মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার সঙ্গে যুদ্ধ করছেন তারা। যে জমিগুলো পানির নিচে তলিয়ে আছে সেগুলোতে গড়ে ১৮ থেকে ২১ মণ বোরো ধান উৎপাদন হতো। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
জমির মালিক হাতীগাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, আমার ১৫ বিঘা জমি পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে প্রায় ২০ বছর ধরে। আমরা বিভিন্ন সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউএনও এমনকি কৃষি কর্মকর্তাদের কাছেও গিয়েছি কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কোন সুফল পাইনি।
বর্তমান শাহবন্দেগী ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা কাজী আবুল কালাম আজাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে কার্পেটিং করা রাস্তা কেটে কালভার্ট নির্মাণ করার পর থেকে পানি নামতে শুরু করে। রাস্তা কেটে কালভার্ট নির্মাণ করায় এলাকার জমির মালিকদের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
শাহবন্দেগী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদের রাস্তায় কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। জমির পানিগুলো এখন কালভার্ট দিয়ে পার হয়ে মহাসড়কের ড্রেন দিয়ে করতোয়া নদীতে গিয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খান বলেন, কালভার্ট না থাকায় জমিগুলো জলাবদ্ধ ছিল। সম্প্রতি ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। সরকারি প্রকল্প দিয়ে কালভার্ট নির্মাণের মাধ্যমে জলাদ্ধতা দূর করেছি। এ কারণে ওই এলকায় আর কোন জলাবদ্ধাতা থাকবে না। এতে করে জমিগুলোতে চাষাবাদের মাধ্যমে জমির মালিকরা যেমন উপকৃত হবেন তেমনি দেশের উন্নয়নে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।