মোকামতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : শিবগঞ্জের কৃষকদের বস্তায় আদা চাষের আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন। কৃষকেরা তাদের বাড়ির আশেপাশে পতিত জমিসহ ফসলি জমিতে বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ২৬ হাজার বস্তায় আদা চাষ করছে কৃষক। উপজেলার তালিপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ৩ হাজার বোয়ালমারী গ্রামের মাসুদ ৫শ এবং কৃষ্ণপুর গ্রামের সাইফুল ৭শ বস্তায় আদা চাষ করেছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুর রহমান পাপ্পু জানান, বস্তায় আদা চাষে উৎপাদন খরচ কম এবং উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে। আর সেই জন্যই কৃষি অফিস থেকে কৃষকের মাঝে বস্তায় আদা চাষের আগ্রহ বাড়ানো হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান বস্তায় আদা রোপনের সময় এপ্রিল থেকে মে মাস । সিমেন্ট বা অন্য কোন বস্তার দুই মুখ সেলাই করে বস্তার মাঝে কেটে একটি বস্তা থেকে দুটি বস্তা তৈরি করা হয়।
আদা রোপনের ১৫ থেকে ২০ দিন আগে বস্তায় মাটি প্রস্তুত করে নিতে হয়। প্রতি বস্তায় ১০ থেকে ১২ কেজি মাটি ৫ কেজি গ্যাস মুক্ত গবর দুই কেজি ভার্মি কম্পোস্ট ১ কেজি ছাই ২৫ গ্রাম ডিএপি সার দশ গ্রাম পটাশ সার পাঁচ গ্রাম বোরন সার ৫ গ্রাম জিংক সার ১০ গ্রাম দানাদার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়।
আদা রোপন করার আগে তৈরিকৃত মিশ্রিত সার ও মাটি এমন ভাবে বস্তায় ভরাট করতে হবে যেন বস্তার উপর ১ থেকে ২ ইঞ্চি ফাঁকা থাকে। বস্তা গুলো পাশাপাশি এমনভাবে সাজানো হবে যেন তিন থেকে চার ফিট চওড়া বেডের মতো হয়। এক বেড় থেকে অন্য বেডের মাঝে ৬০ সেঃ মিটার ফাঁকা রাখতে হবে।
প্রতি বস্তায় ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম ওজনের এক থেকে দুইটি আদার টুকরা দুই থেকে আড়াই ইঞ্চি গভীরতা রোপণ করতে হবে। আদার ভাল ফলন পেতে বস্তায় আদা রোপনের ৫০ দিন ৮০ দিন ও ১১০ দিন বয়সে প্রতি বস্তায় ২ থেকে ৩ গ্রাম পটাশ ও ৩ থেকে ৫ গ্রাম ইউরিয়া সার মিশ্রিত করে গাছের গোড়া থেকে একটু দূরে প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এবং মাঝ মাঝে কার্বেনডাজিম ও প্রোপিকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।
জানুয়ারি -ফেব্রুয়ারি মাসে বস্তা থেকে আদা উঠে। তবে আদার জাত ভেদে প্রতি বস্তায় ৫ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত এবং অনেক ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।