রংপুর জেলা প্রতিনিধি : রংপুর নগরীতে কারফিউ শিথিল থাকায় দিনের বেলা জনজীবনে ব্যস্ততা বেড়েছে। তকে দিন শেষে রাতে কারফিউ জারি থাকায় সড়ক হয়ে যায় ফাঁকা। এদিকে টানা বৃষ্টি ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে সবজির বাজারের উত্তপ্ত চিত্র স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও ডিমের দাম এখনও চড়া। টমেটো ও গাজরের দামও আকাশচুম্বি।
নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পটল ৩৫-৪০, বরবটি ৬০-৭০, শসা ৪০-৫০, পেঁপে ৩৫-৪০, চিচিঙ্গা ৪৫-৫০, ঢেঁড়শ ৪০-৫০, ঝিঙে ৫০-৬০, চিকন বেগুন ৪০-৫০, গোল বেগুন ৭০-৮০, কাকরোল ৫০-৬০, করলা ৭০-৮০, লাউ(আকারভেদে) ৪০-৬০, কাঁচা কলার হালি ৩০-৩৫, কচুর লতি ৪৫-৫০, মুখি কচু ৫০-৬০, চালকুমড়া ৫০-৬০, ধনেপাতা ১৮০-২০০, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০, লেবু প্রতিহালি ৮-১০, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকা কেজি।
বাজারে ৫-৬ দিন আগের তুলনায় কাঁচা মরিচের দাম কমলেও এখনও তা অসহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা। সেইসাথে আদার ঝাঁজও কমেনি। এক কেজি আদার দাম পড়ছে ৩২০-৩৫০ টাকা। প্রতিহালি পোল্ট্রি মুরগির ডিম ৪৬-৪৮ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা এবং রসুন ২১০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কার্ডিনাল আলু ৫০-৫৫ টাকা, শিল আলু ৬৫-৭০ টাকা, ঝাউ আলু ৬৫-৭০ টাকা এবং দেশি সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি।
মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি (হাইব্রিড) ২৫০-২৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭০-১৭৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডাল (চিকন) ১৪০ টাকা, মাঝারি ১১০ টাকা, মুগডাল ১৯০-২০০ টাকা, চিনি ১৩৫-১৪০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।