স্টাফ রিপোর্টার : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর বঞ্চিত বগুড়াবাসী এবার আশায় বুক বাধতে শুরু করেছেন। বৈষম্যের বেড়াজাল ভেঙে এবার বগুড়ার উন্নয়ন হবে এই প্রত্যাশা করছে বগুড়াবাসীর।
বগুড়া সিটি কর্পোরেশন, বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, অর্থনৈতিক জোন, বিসিকের দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপন, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক খেলার ব্যবস্থা করা, বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত রেল পথের কাজ দ্রুত শুরু করা, বিমান বন্দর চালুকরাসহ বগুড়াকে আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার দাবির বাস্তবায়ন চাচ্ছেন বগুড়াবাসী।
২০০১ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে বগুড়ায় পাইপ লাইনে গ্যাস সঞ্চালন, শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম পূর্ণনির্মাণ, বনানী থেকে মাটিডালী পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ, সাতমাথা থেকে তিনমাথা পর্যন্ত রাস্তা উঁচু ও প্রশস্তকরণ, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ, বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, ক্রিসেন্ট ব্রিজ, এসপি ব্রিজসহ কয়েকটি ব্রিজনির্মাণ করা হয়।
মূলত এর পরবর্তী সময়ে বগুড়ার উন্নয়নে স্থবিরতা নেমে আসে। প্রচলিত এবং অত্যাবশকীয় ছাড়া কোন কাজ বগুড়ায় হয়নি। দীর্ঘদিন উন্নয়ন বঞ্চিত এই জেলার সাধারণ মানুষ মনে করছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জোয়ার সব জায়গায় লেগেছে। এতদিন বগুড়া উন্নয়ন বঞ্চিত ছিলো। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা করেন, যাতে কোন অঞ্চল বৈষম্যের শিকার না হয়।
বগুড়ার উপশহর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আহম্মেদ আলী জানান, একটি রাষ্ট্র তখনই এগিয়ে যায় যখন ওই রাষ্ট্রের সুষম বন্টন হয়। সুষম উন্নয়ন ছাড়া দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দেশের সুষম উন্নয়ন প্রত্যাশা দাবি করেন।
রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স এর শিক্ষার্থী জোহফা জাহাবুন জানান, আমরা চাই বগুড়া আরও এগিয়ে যাক। গত কয়েক বছরে বগুড়া অনেক পিছিয়ে গেছে, এবার সুষম উন্নয়ন হবে বগুড়ায়। উত্তরবঙ্গের রাজধানী বলা হলেও বগুড়ায় কাঙ্খিত উন্নয়ন করা হয়নি।
এই শিক্ষার্থী বলেন, রাজশাহী শহরকে বদলে ফেলা হয়েছে। পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। অথচ বগুড়া রাজশাহীর চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকলেও উন্নয়ন করা হয়নি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন ছাত্রদের আন্দোলনের ফলে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে সেই সরকার বগুড়ার উন্নয়নে মনোযোগ দিবেন।
একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক মো: ইউনূস আলী জানান, ভৌগলিক কারনে বগুড়া উত্তরাঞ্চলের যে কোন জেলার চেয়ে সব কিছুতে অগ্রাধিকার পাবে। কিন্তু যে কোন কারণেই হোক তা হয়নি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এবার বিশ্ববিদ্যালয়সহ বগুড়ার মানুষের সকল চাওয়ার প্রাপ্তি মিলবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।