ভিডিও

বগুড়ার শাজাহানপুরে চলাচলের রাস্তা না রেখে প্রাচীর নির্মাণ

সরকারি ইট তুলে ফেলার অভিযোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৪, ১১:২১ রাত
আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২৪, ১১:২১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

শাজহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শাজাহানপুরে চলাচলের রাস্তা না রেখে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ এবং রাস্তায় সরকারি টাকায় সোলিং করা ইট তুলে রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে বিরেন্দ্র চন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চন্দন সরকার নামে এক ব্যক্তি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গন্ডগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, গন্ডগ্রাম দাক্ষিণপাড়া এলাকার দাঁড়িকানাথের বাড়ি থেকে চন্দন সরকারের বাড়ি পর্যন্ত পায়ে চলার রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয়রা যাতায়াত করছিলেন। ২০১২ সালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে রাস্তার অর্ধেক অংশে ইট বিছানো হয়।

অপরদিকে রাস্তাসংলগ্ন পূর্বপাশের একখন্ড জমির মালিক ওই এলাকার মৃত নরেন্দ্র দাসের ছেলে বীরেন্দ্র দাস। তার জমির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে রাস্তাটি। ২০১০ সালে তিনি রাস্তার পশ্চিম পাশের জমিও কিনেন এবং পায়ে চলা রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়ে দুইখন্ড জমি একত্র করেন।

সে সময় তিনি স্থানীয়দের আশ^াস দেন, চলাচলের জন্য বাউন্ডারীর বাইরে দিয়ে রাস্তা দিবেন। কিন্তু রাস্তার জন্য পরিমাণ মতো জমি না রেখে ২০১২ সালে তিনি বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করেন। এতে সংকীর্ণ গলিপথ সৃষ্টি হয়। যা দিয়ে কোন রকম রিক্সাভ্যান চলাচলের উপায় নাই। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগীরা স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের দারস্থ হন। একাধিকবার দেন দরবার হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং রাস্তা দাবি করায় স্থানীয়দের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, গত শনিবার দুপুরে রাস্তায় সরকারি টাকায় সোলিং করা ইট তুলে ফেলেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া বীরেন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে। রাস্তার ইট তুলে ফেলার অভিযোগ পেয়েছেন উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক জানান, দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা বাউন্ডারী ওয়াল দিয়ে বন্ধ করেছেন বীরেন্দ্র দাস। তাই চলাচলের রাস্তা তাকেই দিতে হবে।

অপরদিকে বীরেন্দ্র দাস জানিয়েছেন, চলাচলের জন্য তিনি বাউন্ডারীর বাইরে দিয়ে আড়াই ফুট করে জমি ছেড়েছেন। তিনি আরও বলেন, ২০১২ সালে রাস্তায় যখন সরকারি ইট বিছানো হয় তখন তার সীমানায় ৪০-৫০টি ইট সোলিং করা হয়েছিল।

ওই ইটের মূল্য বাবদ তিনি তৎকালীন মেম্বারকে ৫শ’ টাকা দিয়েছিলেন। তাই তিনি ইট তুলে ফেলেছেন। ওই এলাকার স্বপন মোদকের ছেলে পাপন মোদক বলেন, দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় প্রায় এক যুগ যাবত চন্দন সরকার ও কৃষক দাসের পরিবার বিপাকে পড়েছে এবং স্থানীয় শতাধিক পরিবার তাদের জমিতে যাতায়াত ও ফসল বড়িতে আনতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS