ভিডিও

দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ

চিকিৎসক সঙ্কট ও চিকিৎসা সহায়তা যন্ত্র বিকলসহ নানা সমস্যা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৪, ১১:৩১ রাত
আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২৪, ১১:৩১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : ৫শ’ শয্যা বিশিষ্ট দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (বর্তমানে এম.আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল) চিকিৎসক সঙ্কট ও চিকিৎসা সহায়তা যন্ত্রপাতি বিকলসহ নানা সমস্যর মধ্যদিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।

ফলে কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। হাসপাতালে চিকিৎসকসহ নানা সমস্যার কারণে জরুরী রোগি নিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ছুটছেন স্ব্জনরা। এতে তাদের চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি হওয়ায় তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতির সন্মুখীন হচ্ছেন।

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে স্থানীয় এমপি বেগম খুরশীদ জাহান হকের তত্ত্বাবধানে। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে ৫শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মান করা হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসকদের অনুমোদিত পদ ২১২টি’র স্থলে কর্মরত আছেন মাত্র ১১১জন। এরমধ্যে সিনিয়র কনসালটেন্ট ১২জনের স্থলে ৫জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট ৮জনের স্থলে ৩জন, আবাসিক সার্জন ১৩জনের স্থলে ৯জন, বিভিন্ন বিষয়ে রেজিস্ট্রার ও সহকারি রেজিস্ট্রার চিকিৎসক ৭০জনের স্থলে রয়েছেন ৩১জন এবং অ্যানেসথেসিওলজিস্ট’র ১৫টি পদের বিপরীতে রয়েছে মাত্র ১জন।

তবে মেডিকেল অফিসারের ৫০টির বিপরীতে ৪৩জন কর্মরত আছেন। এছাড়াও দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেনীর ১৩৩ পদের বিপরীতে ৬৫টি পদ শুন্য রয়েছে। এদিকে হাসপাতালের বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও প্রফেসরদের অন্যত্র বদলি করে দেয়ায় চিকিৎস সঙ্কট আরও তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছে।

হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ নিউরো সার্জারি ২০১৭ সালে চালু করা হয়। তরে  নিউরো সার্জারি রোগীদের পৃথক ওয়ার্ড না থাকায় হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় সাধারন সার্জারি ওয়ার্ডেই রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

হাসপাতালের একমাত্র নিউরো সার্জারি বিশেষজ্ঞ সারোয়ার মোর্শেদ আলম বলেন, সপ্তাহে দুইদিন অস্ত্রপচার করা হয়। শুরু থেকে একজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে বিভাগটি। এক্ষেত্রে সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও ইন্টার্ণি চিকিৎসকদের সহায়তা নিয়ে চালানো হচ্ছে।

এদিকে ৫ ক্যাটাগরিতে ২৩৬ জন  আউটসোর্সিং কর্মচারীর বেতন ৩৮৮জনকে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আউটসোর্সিং কর্মচারী বলেন, এমনও অনেকে আছেন মাসের একদিনও আসেনা, মাস শেষে শুধু বেতন তোলে। অপর একজন বলেন, প্রতিমাসে ব্যাংক থেকে মেসেজ পাই ১৬ হাজার ১৭৭ টাকার। ওয়ার্ড মাস্টার বেতন দেন ৯ হাজার ২শ’ টাকা।

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এটিএম নুরুজ্জামান বলেন, ‘সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকট রয়েছে বিষয়টি মন্ত্রনালয়ও অবগত রয়েছে। হাসপাতালের এমআরআই যন্ত্রটি পুরোপুরি অচল। সম্প্রতি সিটি স্ক্যান যন্ত্রটি মেরামত করা হয়েছে। অচল যন্ত্রপাতির তালিকা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখানে নির্ধারিত বেডের চেয়ে দ্বিগুন রোগী থাকে। হাসপাতালের চতুর্থ তলা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। মেয়াদ শেষ হলেও গণপূর্ত বিভাগ হস্তান্তর করতে পারেনি। সেটি চালু হলে আরও ৫শ’ শয্যা বেড়ে গিযে এক হাজার শয্যায় উন্নীত হবে। তখন শয্যা সংকট কেটে যাবে। আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS