ভিডিও

রংপুরের হাটবাজারগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৬:১৫ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৬:১৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর প্রতিনিধি : সরবরাহ কম এই অজুহাতে রংপুরের হাটবাজারগুলোতে প্রতিদিনে বাড়ছে নিত্য প্রযোজনীয় জিনিসপত্রের দাম। ক্রেতারা বলছেন, বাজার মনিটরিং না থাকায় বিক্রেতারা তাদের জিনিসপত্রের দাম ইচ্ছে মতো হাতিয়ে নিচ্ছেন।

দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ পণ্য সামগ্রী কিনতে হিমসিম খাচ্ছে। কাঁচা তরকারী ৭০ কেজি দরে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। বিশেষ করে ডিম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের প্রতিটি দোকানেই ডিম ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, আর খুচরা বাজারে হালিতে ৬০ থেকে ৬২ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। বিশেষ করে পাড়া মহল্লার দোকানগুলো ইচ্ছে মতো দাম নিচ্ছে।

রংপুর সিটি বাজারে ডিম কিনতে আসা রফিক হাওলাদার জানান, সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ডিমের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। কিছুদিন পর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ আর ডিম পাতে নিতে পারবে না।  
সরকার উৎপাদক এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে ডিমের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে পাইকারি ১১ টাকা এক পয়সা আর খুচরা মূল্য প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্ত সেই দামে ডিম বিক্রি করছে না পাইকাররেরা।

ডিম ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা যে ফার্মগুলো থেকে ডিম পাইকারি কিনে নিয়ে আসি তারাই আমাদের কাছে বেশি নিচ্ছেন। আমাদের পরিবহন খরচ, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীদের বেতন রয়েছে। আমরা প্রতি পিস ডিমে ১০ থেকে ১৫ পয়সা লাভ করি।

ক্রেতাদের অভিযোগ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মানুষের প্রত্যাশা ছিল পণ্যের দাম কমবে। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও বাজারে সব পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। বিশেষ করে ডিমের বাজারে যেন আগুন। কোনোভাবে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না।

ডিমের বাজারে সংকটের কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, ডিমের উৎপাদন কম চাহিদা বেশি। এজন্য দামও বেশি। বাজারে ডিমের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। আমাদের করার কিছু নাই। ডিম আবার বাজারে আসার পর ৫-৬ হাতবদল হচ্ছে। এতে করে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS