ভিডিও

গাইবান্ধায় জামায়াতের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও চুরি, সাবেক এমপিসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৪, ১১:০৪ রাত
আপডেট: অক্টোবর ২৫, ২০২৪, ১১:০৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও চুরির ঘটনায় গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই  মামলায় আরও  ১৫০/১৬০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।

গত বুধবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমীর মো. নুরুন্নবী প্রধান (৬৭)। তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের সোনাতোলা শাখইল গ্রামের মৃত ইসমাইল প্রধানের ছেলে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি বিকাল আনুমানিক সোয়া ৫টায় শহরের গরুহাটি থেকে লাঠিসোটা, লোহার রড, কুড়াল, শাবল, ছুরি, ছোরা, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক, ককটেলসহ নানা ধরণের  অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পশ্চিম চারমাথায় অবস্থিত গোলাপবাগ দারুল ফোরকান ট্রাস্ট ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামী কার্যালয়ে এসে ১নং আসামি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে  সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল (৪৫), সাবেক মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি (৫৫), কামারদহ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তৌকির হাসান রচি (৩৮), সাবেক কাউন্সিলর শাহিন আকন্দ (৫২), কাইয়ুম মিয়া (৫০), এটিএম জয়নাল আবেদীন (৫০), মো. রাজু মিয়া (৪৫), উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মুক্তার হোসেন সাদ্দাম (৩৪), শ্রী গোবিন্দ কুমার রাজভর (৬০), উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ বাবুল ইসলাম (২৮), জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল হান্নান আজাদ (৫৫), সাবেক সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আতিকুর রহমান আতিকসহ (৪২) অন্যান্য আসামির নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন আসবাবপত্র একত্রিত করে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে।

এতে উক্ত কার্যালয়ে থাকা ৫টি মোটরসাইকেল, অসংখ্য বই ও আসবাবপত্র অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়। যার মোট আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ১১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীসহ স্থানীয় লোকজন তাদের বাধা দিতে গেলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে সকল আসামি মালামার চুরি করে নিয়ে যায়। যার মোট আনুমানিক মূল্য ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

মামলার বাদি মো. নুরুন্নবী প্রধান বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে তৎকালীন ওসি মামলা নেননি। বিষয়টি সাংগঠনিক হওয়ায় ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে মামলা করতে দেরি হলো।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে জামায়াতে ইসলামীর অফিসে অগ্নিসংযোগ ও চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিরা আত্মগোপনে আছেন। তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS